তীব্রশীতে কষ্ট পাচ্ছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সোমবারের ভূমিকম্পের পর ঘরবাড়ি হারানো বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সাহায্য কর্মীরা সতর্ক করে বলছেন, এইসব মানুষেরা এরইমধ্যে খোলা আকাশের নিচে দ্বিতীয় রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছে।এসব মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাঁবু এবং কম্বল প্রয়োজন। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে বিশেষ করে শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাতটিতে ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মত অবস্থা। তারমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়।আফটার শক বা আবারও ভূকম্পনের আশঙ্কায় তারা ঘরে ফিরতে আতঙ্ক বোধ করছেন, পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প কবলিত প্রত্যন্ত এবং পার্বত্য এলাকাগুলোতে গত দুদিনে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সোমবারের ভূমিকম্পে দুদেশে কমপক্ষে ৩৬০ জনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা বেশি।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশে এবং সেখানকার বহু রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে।এসব এলাকায় ত্রাণ বা সাহায্য পৌছাতে হলে আকাশপথে পৌছাতে হবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আক্রান্ত এলাকা এবং ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষণ এধরনের পদক্ষেপ নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ব্যাপী এই ভূমিকম্পে বিশাল এলাকাজুড়ে দালানের দেয়ালে ফাটল তৈরি করে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ